জোর পূর্বক বাড়ি দখলের অভিযোগ; আদালতের আদেশ অমান্য করে চলছে নির্মাণ কাজ

জোর পূর্বক বাড়ি দখলের অভিযোগ; আদালতের আদেশ অমান্য করে চলছে নির্মাণ কাজ

নওগাঁ প্রতিনিধি:

নওগাঁর রাণীনগরে বড় ভাইয়ের নির্মাণকৃত বাড়ি দেখভালের নাম করে ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে জোবরদখল করার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় বড় ভাই আদালতের আশ্রয়ে গেলে আদালত থেকে জারী করা জরুরী অবস্থা উপেক্ষা করে বাড়ির কাজ করছে ছোট ভাই। এমতাবস্থায় যে কোন সময়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা।

অভিযোগকারী উপজেলার দূর্গাপুর গ্রামের সমতুল খন্দকারের বড় ছেলে ছামিনুর খন্দকার বলেন আমার কবলা সূত্রে পাওয়া নওগাঁ-আত্রাই সড়কের পাশে দূর্গাপুর খানপাড়া নামক স্থানে পাকা বাড়ি নির্মাণ কাজ শুরু করি। আমি যেহেতু ডিস ও ইন্টারনেটের টেকনিশিয়ানের কাজ করি সেহেতু বাড়ির নির্মাণ কাজ দেখভাল করার সময় খুব কম পাই। তাই তখন ছোট ভাই সোনামূল বাড়ির কাজ দেখভালের দায়িত্ব নেয়। এরপর বাড়ি নির্মানের কাজ মোটামুটি শেষ দিকে এলে তখন সোনামূল বাড়ি নিজের বলে দাবী করে সে তখন নির্মাণ কাজ শুরু করে। এই বিষয়ে সোনামূল বাবা-মাকে কব্জা করে অন্যান্য ভাইদের সহযোগিতায় একাধিকবার আমাকেসহ আমার পরিবারের সদস্যদের মারপিট করেছে। সোনামূল একজন মাদক ব্যবসায়ী, সন্ত্রাস, দাঙ্গাবাজ ও দাদন ব্যবসায়ী হওয়ার কারণে তার অনেক প্রভাব। থানায় সোনামূলের বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলা থাকা সত্বেও পুলিশ প্রশাসন তাকে কিছুই বলে না। আমি এই বিষয়ে থানায় গিয়েও কোন ফল পাই নাই। তাই বাধ্য হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করি। এরপরও সোনামূল পেশীবলের জোরে নির্মাণ কাজ করার সময় বাধা দিতে গেলে সোনামূল ও তার সঙ্গীরা আমাকে প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করে। এমতাবস্থায় নিজের নিরাপত্তা ও আমার বাড়ি ফিরে পাওয়ার ন্যায় সঙ্গত আইনত প্রতিকার পাওয়ার আশায় চলতি মাসের ৭তারিখে নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে আমার সকল কাগজপত্রাদিসহ মামলা দায়ের করি। মামলার প্রেক্ষিতে চলতি মাসের ১১তারিখে আদালত থেকে ওই বাড়ি এবং জায়গার উপর আগামী ডিসেম্বর মাসের ০৯তারিখ পর্যন্ত ১৪৪/১৪৫ ধারা জারি করে। আদালতের জারি করা এই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সোনামূল বাড়ির নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেখেছে। আমি সরকার ও প্রশাসনের কাছে সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে একটি শান্তিপূর্ন সমাধান চাই। আমি আমার বাড়িতে ফিরে বসবাস করতে চাই। তাই আমি আইনগত সমাধান পাওয়ার আশায় আদালতের আশ্রয় নিয়েছি।

অভিযুক্ত সোনামূল খন্দকার বলেন, আদালতের নোটিশ পাওয়ার ৩দিন আগে থেকে নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে। আদালত যদি বলে বাড়ি বড় ভাইয়ের আমি বাড়ি ছেড়ে দিবো। আর বড় ভাই আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলো করেছে তা সম্পন্ন মিথ্যে ও বানোয়াট।

রাণীনগর থানার এএসআই আল আমিন হোসেন বলেন, এই বিষয়ে আমি আদালতের একটি নোটিশ পেয়েছি। নোটিশে বলা বয়েছে নিষেধাজ্ঞা শেষ না হওয়া পর্যন্ত ওই জায়গা কিংবা বাড়িতে উভয় পক্ষের কেউ কোন কাজ করতে পারবেন না। আমি নোটিশের অনুলিপি উভয় পক্ষের সদস্যদের কাছে পৌছে দিয়েছি। যদি কেউ আইন অমান্য করে কোন কাজ করে তাহলে তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার মাহাতো বলেন এই সংক্রান্ত আমি একটি আবেদন পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন